অনলাইন ডেস্ক :
গতিময় বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারেজুড়েই আলাদা পরিচিতি ছিল শাবনিম ইসমাইলের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর ক্যারিয়ারের গৌধূলি বেলায় আনুষ্ঠানিক একটি প্রাপ্তির দেখাও পেলেন তিনি। মেয়েদের ক্রিকেট ইতিহাসের স্বীকৃতি দ্রুততম ডেলিভারিটি এখন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ফাস্ট বোলারের। ভারতের উইমেন’স প্রিমিয়ার লিগে মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ওই ডেলিভারি করেন শাবনিম। দিল্লির আরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারি ছিল সেটি। ফুল লেংথ বলটি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি দিল্লির অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার মেগ ল্যানিং।
প্যাডে বল লাগলেও এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। স্পিড গান বলটির গতি দেখায় ১৩২.১ কিলোমিটার। মেয়েদের ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারির স্বীকৃত রেকর্ডটি এতদিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরির। গত বছরের উইমেন’স প্রিমিয়ার লিগেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে এই অলরাউন্ডারের একটি ডেলিভারির গতি ছিল ১৩০.৫ কিলোমিটার। ২০২১ সালে একটি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়ান পেসার টায়লা ভ্যালেমিকের একটি ডেলিভারির গতি স্পিড গানে দেখা গিয়েছিল ১৪৫ কিলোমিটার। তবে সংশয়ের কারণে সেটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মেলেনি। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারিটি করেছেন শাবনিমই।
২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার একটি ডেলিভারি ছিল ১২৮ কিলোমিটার গতির। ২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই দফায় ১২৭ কিলোমিটার ছাড়ান তিনি। এবার উইমেন’স প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেও ১২৮.৩ কিলোমিটার ছিল তার একটি বলের গতি। তবে এরপর চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। মঙ্গলবার ফিরে গতির রেকর্ড গড়লেন। গতির এই রেকর্ড নিয়ে অবশ্য বেশ নির্লিপ্ত হয়ে ৩৫ বছর বয়সী পেসার বললেন, “বোলিংয়ের সময় আমি মাঠের বড় পর্দার দিকে তাকাই না।” গত মে মাসে ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানেন শাবনিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪১ ম্যাচ খেলে ৩১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এখন বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত মুখ।
আরও পড়ুন
কার দিকে, কেন তেড়ে গিয়েছিলেন তামিম
শেষ ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চার, ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল
মোহামেডানকে হারালো আবাহনী দুই বছর পর