আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর :
রংপুরে আগামীকাল শনিবার বিএনপির বিভাগীয় মহা সমাবেশকে ঘিরে অভিন্ন নাটক মঞ্চায়ন শুরু হয়েছ্। আজ শুক্রবার শতাধিক রুটের সকাল ৬ টা থেকে ৩৬ ঘন্টা রংপুরে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির ডাকে ধর্মঘট চলছে। ঢাকাগামি বাস সহ আন্তঃজেলা পরিবহন সহ সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকালে রংপুর নগরীর কামারপাড়াস্থ ঢাকা কোচ ষ্টান্ডে গিয়ে দেখা গেছে বাসের টিকেট কাউন্টার গুলো বন্ধ রয়েছে। বাস ষ্টান্ডে সকল ঢাকাগামি বাস সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
মহাসমাবেশ ডেকেছে সরকারী দলও পাল্টা কর্মসূচি দিতে পারে ফলে বড় ধরনের সহিংসতার আশংকা করছে বাস মালিকরা সে কারনে বাস চালাবেনা বলে জানিয়েছে। বাসের হেলপার আজিজুল আর সাহানুর জানালেন আমরা যারা দিন আয় করে দিন খাই আমাদের ধর্মঘট হলে পরিবার পরিজন নিয়ে উপোস করতে হয়। একই অবস্থা রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সেখান থেকেও শতাধিক রুটের সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরকই ভাবে ট্রাক , মাইক্রোবাস ,মিনিবাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। বাসের ড্রাইভার হেলপার বলেছেন মালিকের নির্দ্দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে আকস্মিক বাস ধর্মঘটের কারনে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে। রংপুর থেকে বগুড়া যাবার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আসা যাত্রী শাহাবুল জানালেন তার জর ুরী কাজে বগুড়া যাওয়া দরকার বাস বন্ধ থাকায় যেতে পারছেননা বলে জানান। তিনি বলেন শুনলাম বিএনপির সমাবেশ আছে এজন্য গোলমালের আশংকায় বাস বন্ধ ।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সহ সভাপতি মারুফ জানালেন বিএনপি যেখানে মহাসমাবেশ ডেকেছে তার পার্শ্বেই সরকারী দলের উদ্যেগে বানিজ্য মেলা হচ্ছে দুপক্ষই সংঘর্ষ সহ অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। আর বাস চালাবো কোন সাহসে বিভিন্ন জায়গায় বাসে হামলা হতে পারে আগুন দেয়া হতে পারে ১৫ থেকে ২০ লাখ টচাকা দামি বাস কোন সাহসে চালাবে মালিকরা একারনের বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানালেন। এদিকে নগরীতে অটো রিকশা ধর্মঘট ডাকালেও নগরীতে ২/৪টি অটো রিকশা ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীতে জনসমাগম অনেকটা কম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি একেএম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় আজ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে আগামীকাল শনিবার সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত ৩৬ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পরিবহন ধর্মঘট চলাকালীন বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মিনি ট্রাক এবং মাইক্রোবাস সহ সকল প্রকার পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম, সরকারের পক্ষ থেকে বাধা আসতে পারে। কারণ এর আগেও সেটা হয়েছে। এ কারণে সমাবেশের দুদিন আগ থেকেই মানুষজন রংপুরে আসতে শুরু করেছে। প্রয়োজনে মানুষজন হেঁটে, বাইসাইকেলে, ভ্যানে করে হলেও সমাবেশে এসে যোগ দেবেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন বলেন, আমরা বিএনপির এই সমাবেশ নিয়ে কোনো বাধা দিচ্ছি না। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে। তবে, রাজনৈতিক এই সমাবেশকে ঘিরে অন্য কোনো পরিকল্পনা থাকলে আমরা কঠোর হস্তে সেটি দমন করব, আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
আরও পড়ুন
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন তিন ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি ২ দিনের রিমান্ডে
সীমান্তে ২ কেজি স্বর্ণসহ ভারতীয় নাগরিক আটক