অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বড় একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় অনেকগুলো স্থলমাইন ভেসে গেছে। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা দুষ্কর হয়ে পড়ায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে রেডক্রস। দেশটির কাখোভকায় বিস্ফোরণের ফলে বাঁধের একাংশ ভেঙে গেছে। এর প্রভাবে নিপ্রো নদীর পানি বেড়েই চলেছে। খেরসন অঞ্চলের বিভিন্ন অংশ থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নিপ্রোর পানি আরও তিন ফিট পর্যন্ত বাড়তে পারে। বন্যার্ত এলাকা ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে খাবার পানি নেই।
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে আক্রান্ত এলাকায় সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রেডক্রসের আশঙ্কা, এই এলাকায় প্রচুর মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল। সেগুলো বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এর ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে। রেডক্রসের কর্মকর্তা এরিক টোলেফসেন এএফপি-কে বলেছেন, “এই মাইনগুলো শুধু খেরসনের বাসিন্দাদের কাছে বিপদের কারণ তাই নয়, বাইরে থেকে যারা সাহায্য করার জন্য আসছেন, তাদের জন্যও বিপদের কারণ।” এরিক বলেছেন, “আগে আমরা জানতাম মাইনগুলো কোথায় আছে। নদীর পানিতে এখন তা নিচের দিকে চলে যেতে পারে।”
ইউক্রেনের সেনার সাদার্ন কম্যান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, “রাশিয়া অধিকৃত এলাকা থেকে মাইনগুলো ভেসে গেছে এবং এখন সেগুলো ভাসমান মাইনে পরিণত হয়েছে। এই মাইনগুলো ঘোর বিপদের কারণ।” সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিপ্রোর পানিতে ৩০টি শহর ও গ্রাম ভেসেছে। এর মধ্যে ২০টি শহর ও গ্রাম ইউক্রেনের অধিকারে আছে, বাকি ১০টি রাশিয়ার দখলে। ইউক্রেনের এলাকায় ১৭ হাজার ও রাশিয়ার এলাকায় ২৫ হাজার মানুষের সাহায্য দরকার। খেরসন শহরে দুই হাজার বাড়ি পানির তলায় চলে গেছে। কারা এই বিস্ফোরণের পেছনে তা এখনো জানা যায়নি। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া এই কাজ করেছে। আর রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনই বিস্ফোরণের পেছনে দায়ি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন বলেছেন, “ইউক্রেনের এই কাজ বর্বরোচিত।”
আরও পড়ুন
লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের ঘটনায় সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার
দাবানলে পুড়ছে হলিউড হিলস