টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চেঙ্গী নদীর পানি উপচে পড়ে পৌর এলাকার মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, খবংপুড়য়া, রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল, বটতলীসহ কয়েকটি এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শহরের পৌর বাস টার্মিনাল, নিচের বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।
এছাড়া সদর উপজেলার কমলছড়ি ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩ শ’ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তায় কোমড় ও গলা সমান পানি থাকায় এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যায় পৌর এলাকার ৬ থেকে ৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জন্য ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেকের খাবার ব্যবস্থা করছে পৌরসভা।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত ও পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।
——ইউএনবি

আরও পড়ুন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৬৫৯
জুলাই সনদের আলোকে রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার: আদিলুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপে সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ৩০