ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের মানুষ বহু ধরনের শাসন দেখেছে; এবার ইসলামকে সুযোগ দিলে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র উপহার দেওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামপন্থীরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশে চাঁদাবাজি, অবিচার, খুনাখুনি—কোনোটিই থাকবে না। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারও বন্ধ হবে। ক্ষমতার মোহে পড়ে যারা বারবার জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে, অন্যায়-দুর্নীতি বাড়িয়েছে এবং লুটপাটে শীর্ষে থেকেছে—তাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ থেকে কঠোর বার্তা পাঠানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পীর সাহেব বলেন, বাংলার মাটিতে তাদের আর স্থান হবে না, তাদের উৎখাত করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে যাদের তৎপরতা চলছে, তাদের জায়গা বাংলাদেশে নেই। জনগণের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়ে তোলা হয়েছে; চাঁদাবাজি আর খুনোখুনি দেখার জন্য রাজপথে নামা হয়নি।
রেজাউল করীম অভিযোগ করেন, দেশকে ঘিরে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে, যা রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে এবং চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা স্টেশন দখলে জড়িত, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—“আপনাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।”
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে পরিবর্তনের। শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালায় না’—এই কথা বললেও তিনি রান্না করা খাবার খেয়ে যেতে পারেননি। তাই সবারই এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত; নইলে একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হতে পারে।
বক্তৃতার শেষে পীর সাহেব চরমোনাই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহেরের রোগমুক্তি কামনা করেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ছাত্রজীবনে তিনি পীর-পন্থাকে পছন্দ করতেন না। কিন্তু আজ চরমোনাই পীরের পাশে বসে তার উপলব্ধি হয়েছে—তিনি শুধু পীর নন, বরং দেশের ইসলামী প্রতিষ্ঠার এক ‘মহাবীর’।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৩৮ টাকা
অবশেষে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিলো পাকিস্তান