নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও চাপ বাড়ছে ভোক্তাদের ওপর। গত এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও কমেনি ঝাঁজ। পাশাপাশি সয়াবিন তেলও বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে। পুরোনো দেশি পেঁয়াজের বাজারে এখনো চড়া ভাব বজায় রয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে সবজি ও ডিমের বাজারে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামে সামান্য নিম্নমুখী ধারা দেখা দিয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, মাসের শেষ দিকে সবজির দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
বাজারে নতুন আলুর দাম কমতির দিকে। তিন কেজির প্যাকেজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ কেজি ৩৩ টাকা। খুচরায় নতুন আলুর কেজি ৩৫–৪০ টাকা।
সবজির মধ্যে শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০–৮০ টাকা কেজি (গত সপ্তাহে ছিল ৮০–১০০ টাকা)। বরবটি, বেগুন, করলা কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও পটল ৪০–৫০ টাকা কেজি। ফুলকপি ও বাঁধাকপি (মাঝারি) প্রতিটি ৩০–৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
গত মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ বাজারে ১৪০–১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১০০–১২০ টাকা।
বিক্রেতারা জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় আমদানিকারকরাও আমদানি করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করছেন। যদিও ভারতীয় পেঁয়াজের প্রকৃত আমদানি মূল্য কেজিপ্রতি ১৫–১৬ রুপি, যা দেশে আনলে ৪০–৪৫ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু পাইকারিতে এর দাম এখন ৯০–১০০ টাকা।
শীতের শুরুতেই ডিমের দাম কমেছে। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১১৫–১২০ টাকা, পাড়া–মহল্লায় সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা। হাঁসের ডিম ডজন ২১০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২৪০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০–১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০–২৭০ টাকা। বিক্রেতাদের ভাষায়, শীতে সবজির সরবরাহ বাড়লে মুরগি ও ডিমের চাহিদা কমে—তাই দাম কমেছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, কই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, প্রতি কেজি চাষের শিং ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি তেলাপিয়া আকার ভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙাস প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, শোল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সয়াবিন তেলের দাম আবারও বেড়েছ। গত রোববার এক লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম যথাক্রমে ৬ ও ৭ টাকা বেড়েছে। পাম তেল বেড়েছে লিটারে ১৬ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বেড়েছে ৩৩ টাকা।
এতে নতুন দাম হয়েছে— এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯৫ টাকা (আগে ১৮৯ টাকা), পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ৯৫৫ টাকা (আগে ৯২২ টাকা), খোলা সয়াবিন ১৭৬ টাকা, পাম তেল ১৬৬ টাকা।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন: মোটরসাইকেলে করে আসা দুই জন সম্প্রতি ওসমান হাদির প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল
হাদিকে গুলি নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের অংশ: জামায়াত
মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশসহ ৪ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ সতর্কতা