December 7, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 7th, 2025, 12:30 am

পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে ৪ ঘণ্টা ধরে গোলাবিনিময়, প্রশ্নের মুখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

 

পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্তে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে নতুন সংঘাতে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিট থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি চলে—ভারী ও হালকা অস্ত্র ব্যবহার হয় দু’দিক থেকেই। ঘটনায় সীমান্তের আফগান অংশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বহু মানুষ পায়ে হেঁটে বা যানবাহনে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।

আফগানিস্তানের কান্দাহার তথ্য বিভাগের প্রধান আলি মোহাম্মদ হাকমাল জানান, পাকিস্তানি বাহিনী ভারী কামান ও মর্টার ছুড়েছে, এতে বেসামরিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি তালেবানের বিরুদ্ধে উসকানিহীন হামলার অভিযোগ আনেন। তার দাবি, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নাগরিক নিরাপত্তা রক্ষায় জবাব দিয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র পাল্টা দাবি করেন, পাকিস্তানই প্রথম আক্রমণ শুরু করেছিল, তাই তারা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছে।

এই সংঘাত এমন এক সময়ে ঘটল যখন মাত্র দুই মাস আগে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছিল। তালেবানের ২০২১ সালের ক্ষমতা প্রত্যাবর্তনের পর এটিই ছিল উভয়ের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (ACLED) জানায়, গত বছর পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর অন্তত ৬০০টি হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহেও দুই পক্ষ সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় বসেছিল; যদিও কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি, উভয়েই যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছিল। নতুন সংঘাত সেই প্রচেষ্টায় বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

খাইবার পাখতুনখোয়ায় পৃথক অভিযানে টিটিপির ৯ সদস্য নিহত

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়ার টাঙ্ক ও লাক্কি মারওয়াত জেলায় পৃথক গোয়েন্দা অভিযানে টিটিপির ৯ সদস্য নিহত হয়েছে। টাঙ্কে সাতজন ও লাক্কি মারওয়াতে দুইজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। তারা নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল বলে জানানো হয়।

অভিযান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আইএসপিআর বলেছে, বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী নির্মূলে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নিরাপত্তা বাহিনীর এ সাফল্যের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে জাতি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি খাইবার পাখতুনখোয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন।

এনএনবাংলা/