যশোরের অভয়নগর উপজেলার তিনটি ক্লিনিককে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ অদালত।
বুধবার (৩১জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালতের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও উপজেলা প্রশাসনের দুইটি টিম।
প্রথমে নওয়াপাড়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ (২) ধারা মোতাবেক এল ভি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. শামছুস ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পর্যাপ্ত ডিউটি ডাক্তার না থাকা ও সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত রোগী ভর্তির অপরাধে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ (২) ধারা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ এবং ৫২ ধারা মোতাবেক ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. তরিকুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্ধারিত মূল্য তালিকা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার দায়ে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মিলন কুমার বসুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
যশোর র্যাব-৬ সিপিসি-৩ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়সাল তানভীর বলেন, ‘বুধবার দিনব্যাপী সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় এ সকল অনিয়ম না করার জন্য সতর্কও করা হয়েছে।’
জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি তাৎক্ষণিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া ১৯১১ নথির খোঁজ মেলেনি
রেলস্টেশনের মনিটরে অশ্লীল দৃশ্য : জড়িতদের খোঁজার নির্দেশ
অসদাচরণের ৩৩ অভিযোগ, বিচারকের ১২ ও কমকর্তা-কর্মচারীদের ১৫