অনলাইন ডেস্ক :
নতুন মোড় নিয়েছে ফুটবল রাজপুত্র দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার মৃত্যু। স্বাভাবিক নাকি হত্যা! তার মৃত্যুর পর পরই এমন প্রশ্ন উঠেছিল। এরই মধ্যে হত্যার অভিযোগ এনে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ফুটবল ঈশ্বর খ্যাত আর্জেন্টাইন এ ফুটবলারের দুই মেয়ে। তাদের দাবি ১৯৮৬ সালের বিশ্বজয়ী মহাতারকাকে হত্যা করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে মারা যান ম্যারাডোনা। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। তবে পরিকল্পনা করে আর্জেন্টিনার সাবেক এ অধিনায়ককে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়।
এ নিয়ে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে বুয়েন্স আয়ার্সের পুলিশ। শুধু তাই নয়, ম্যারাডোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে তার বন্ধু, পরিচারিকা- অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। স্যান ইসিডিরো আদালতের বরাতে ইএসপিএন জানিয়েছে, চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল তার।
মৃত্যুর আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল ম্যারাডোনার। হত্যা মামলায় যে সাতজনের নাম জড়িয়েছে তারা প্রত্যেকেই চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অভিযুক্তরা হলেন- মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারকারী লিয়োপল্ডো লুক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনো কোসাশভ এবং মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ। এছাড়া দুজন নার্স ও একজন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই চিকিৎসকদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে। আগামী ৩১ মে থেকে শুরু হবে তাদের শুনানি।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে এক দিনে মারা গেছেন আরও ৪ জন
একটা ধাক্কায় কোহলির ৪ লাখ টাকা জরিমানা
মাশরাফি–সাকিব কি খেলবেন বিপিএলে?