সুদানে জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে হামলার একদিন পর দেশটির সেনাবাহিনীর একটি হাসপাতালে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এই হামলায় অন্তত সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, হামলার শিকার হাসপাতালটি দক্ষিণ কর্দোফান রাজ্যের অবরুদ্ধ শহর ডিলিংয়ে অবস্থিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, নিহতদের মধ্যে রোগী ও তাদের স্বজনরাও রয়েছেন।
তিনি বলেন, সেনা হাসপাতালটি সামরিক সদস্যদের পাশাপাশি ডিলিং শহর ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিলিং শহরটি সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরএসএফ-এর মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। এই সংঘাতে উভয় পক্ষের সহযোগী যোদ্ধারাও জড়িত। তবে বিদ্রোহীরা প্রায়শই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে এবং নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ডিলিং শহরের বেসামরিক জনগোষ্ঠী বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সরকারিভাবে বিষয়টি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। দেশজুড়ে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এর ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বড় ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতি সংকট তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সুদানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার জন্যও বিদ্রোহী আরএসএফ দায়ী। শনিবারের ওই হামলায় অন্তত ছয়জন সেনা নিহত এবং আটজন আহত হন।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
অবৈধ মোবাইল বন্ধ হবে ১ জানুয়ারি থেকে
হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি