ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়ার পর তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ হাসপাতাল পরিচালকের কাছে শোকজের জবাব জমা দেন।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বিষয়টি নিশ্চিত করে বেলা দুইটার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, “শোকজ চিঠি হাতে পেয়ে আজ সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালককে তা জমা দিয়েছি। ডিজি একজন বয়স্ক ব্যক্তি; আমারও বেয়াদবি হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়েছি।”
গতকাল শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যের ডিজি আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শন করতে গিয়ে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। অভিযোগ অনুযায়ী, ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তরে অস্বস্তি প্রকাশ করেন।
ধনদেব চন্দ্র বর্মণ ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ঘটনার পর তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং শোকজ জারি করা হয়।
ডা. ধনদেব গণমাধ্যমকে জানান, “ডিজির কাছ থেকে আমি গুরুজনের মতো আচরণ আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনি এসে কোনও সমস্যা জানার চেষ্টা না করে কেবল টেবিল কেন রাখা হয়েছে তা নিয়ে কথা বললেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার বন্ধুদের সবাই অধ্যাপক পদে আছে, কিন্তু আমি বিভিন্ন কারণে পাইনি। তাই আমার চাকরি থেকে স্থগিত হলে আমি খুশি হই।”
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান বলেন, “চিকিৎসককে শোকজ দেওয়া হয়েছে এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবেন।”
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
ফের ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ