October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 7th, 2023, 7:42 pm

‘শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের এলসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধারা সমর্থন করে না বিজিএমইএ’

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলেছে, শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এমন কোনো শর্ত বা ধারা অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করে না বিজিএমইএ।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বিজিএমইএ এ কথা বলেছে।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা অতীতে এমন উদাহরণ দেখেছি, যেখানে ক্রেতার কাছ থেকে এলসি শর্ত উদ্ধৃত করে এটিকে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা হিসেবে সাধারণীকরণ করা হয়েছে।’

বিজিএমইএ’র এক সদস্যকে বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) অনুলিপি অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে।

বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) অনুলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সঙ্গে লেনদেন করব না। নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো বিলম্ব, অকার্যকারিতা বা তথ্য প্রকাশের জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই।’

বিজিএমইএ বলেছে, এই ধারার ব্যাখ্যায় উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে, যা সঠিক নয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘উল্লিখিত ধারার এলসি গ্রহণকারী সদস্যদের সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাখ্যা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

এতে বলা হয়, ‘যদি এই ধারা শুধু বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের পক্ষে জারি করা এলসিগুলোতে প্রদর্শিত হয়, তবে এটি নৈতিকতার লঙ্ঘন করে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের সদস্য কারখানাগুলোকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে এই ধরনের ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা/পুনর্বিবেচনা করারও আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজিএমইএ বলছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। মানবাধিকার ও পরিবেশগত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাই বাণিজ্য নীতির যেকোনো উন্নয়ন আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে।’

বিজিএমইএ বলেছে, এটি লক্ষ্য করা উচিত, এলসি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছ থেকে এসেছিল এবং এটি কোনো দেশের দ্বারা সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা নোটিশ নয়। সুতরাং, এটিকে বাংলাদেশের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ হিসেবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।

এতে বলা হয়, ‘আমরা বুঝতে পারি মানবাধিকার ও পরিবেশগত যথাযথ অধ্যয়ন আমাদের অনেক রপ্তানি বাজারের জন্য ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে।’

‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমানকে এগিয়ে নেওয়ার’ জন্য চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর সই হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকটি চলমান বিশ্বব্যাপী শ্রম প্রচারাভিযানে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করেছে। কারণ এটির সম্পৃক্ততা এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশ অনন্য বলে মনে হয়।’

বিজিএমইএ’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা এর চেতনাকে সম্মান করি এবং মূল নীতিগুলোর সঙ্গে একটি সামঞ্জস্য খুঁজে পাই। যদিও স্মারকলিপিতে ‘কূটনৈতিক ও সহায়তা সরঞ্জামের পূর্ণ পরিসর অন্তর্ভুক্ত এবং যথাযথভাবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা, ভিসা বিধিনিষেধ ও অন্যান্য পদক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। তবে এটি বাংলাদেশের জন্য গৃহীত হয়নি, বরং এটি শ্রমিকদের অধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অবস্থান।’

—-ইউএনবি