কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয়জনের লাশ উদ্ধার হলো।
রবিবার (২৪ মার্চ) আড়াইটার দিকে ভৈরব মেঘনা নদী ও পুলতাকান্দা এলাকা থেকে ভাসমান তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ উদ্ধার করে।
তারা হলেন, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা এবং পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের স্ত্রী মৌসুমি ও আরাধ্যা নামে এক মেয়ে।
এছাড়া ট্রলার দুর্ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন, মানিকখালির বেলন দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানা, তার ছেলে রায়সুল।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ এবং রবিবার আড়াইটার দিকে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো. সাদেক বলেন, আমাদের সহকর্মী সোহেল রানার মেয়ের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় এসে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেছি।
নিহতে রুপা রানী দের জা রুমা রানী দে বলেন, দুর্ঘটনার তিন দিন পর রবিবার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্য শনিবার দুইজনের লাশ ও রবিবার তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ দিয়ে যা বললেন তারেক রহমান
শীতের সবজির বাজারে স্বস্তি, কমেছে পেঁয়াজ,ডিম-মুরগির দামও
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার