এপি, ব্রাজিল :
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দু সুলে প্রবল বর্ষণের কারণে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যটিতে গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৬৮ জন।
বন্যার কারণে রাজ্যের হাজার হাজর মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে শুক্রবার দু সুলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে গত এক বছরে চারটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। ২০২৩ সালের জুলাইতে আরও একটি বড় বন্যার শিকার হন ব্রাজিলের নাগরিকরা। এরপর সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে আরও দুটি বন্যায় হয় দেশটিতে। সরকারি তথ্যানুযায়ী, ওই তিনটি ঘটনায় মোট ৭৫ জন নিহত হয়। তবে এবারের বন্যা ওগুলোর চেয়েও ভয়াবহ।
ব্রাজিলের ভূতাত্ত্বিক পরিষেবার তথ্যানুসারে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় ১৯৪১ সালে এ রাজ্যে হওয়া ভয়াবহ বন্যাকে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে চলমান বন্যাটি। বন্যায় কিছু কিছু শহরের পানির উচ্চতা দেশটির প্রায় ১৫০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
পানির চাপে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেন্তো গনসালভেস ও কোতিপোরা শহরের মাঝে অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশবিশেষ ভেঙে যায়। এর ফলে স্থানীয় তাকারি নদী উপত্যকার লাজিয়াদো ও এস্ত্রেলা শহরদুটি সম্পূর্ণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া রাজ্যটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের ফেলিজ ও লিনিয়া নোভা শহরদুটির বিশালাকৃতির সংযোগ সেতুটি স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে। রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, টেলিফোন ও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
রাজ্যের অন্তত ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন
কর ফাঁকির অভিযোগে ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
বিদায়ী ম্যাচে হাত নেড়ে সমর্থকদের ‘গুড বাই’ বললেন মেসি
নব্বই দশকের গানের গল্প নিয়ে ‘নাইনটিজ মিউজিক স্টোরি’