কোটা আন্দোলনের মধ্যেই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাতের এ ঘটনার সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি। টোল প্লাজায় আগুন লাগানোর সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এর আগে গোলাগুলিতে চারজন আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার মুখে জড়ো হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়। আন্দোলনকারীদের হটাতে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়।
আহতরা হলেন- বাবু মিয়া (৫০) ও তার ছেলে রোহিত মিয়া (২), মো. ফয়সাল (১৮), মনিরুল ইসলাম (২০), পিয়াস (১৭) ও মো. সোহাগ মিয়া (২৭)। এরমধ্যে ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।
ফয়সালকে ঢামেকে নিয়ে আসা তানজিল বলেন, ‘আমরা চারজন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। এসময় ফয়সালসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ফয়সালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।’
গুলিবিদ্ধ বাবা-ছেলেকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা লিপি আক্তার জানান, ‘তারা শনির আখড়া বর্ণমালা স্কুলের পাশের একটি বাসার নিচতলায় বসেছিলেন। এ সময় জানালা দিয়ে গুলি এসে তার ছেলে ও স্বামীর গায়ে লাগে।’
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
নাহিদ রানার ৩ শিকার, জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
লাইফ সাপোর্টে ব্যারিস্টার রাজ্জাক, দোয়া চাইলেন জামায়াত আমির