কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কমছে। তবে পাড় ভেঙে যাওয়ায় নদীর পানি ছড়িয়ে যাচ্ছে বুড়িচংয়ের ব্রাহ্মণপাড়ায়। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছিল।
এদিকে জেলার বুড়িচং উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। অন্যান্য উপজেলা- লাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, বরুড়াসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছে। ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
জেলা প্রশাসন থেকে ৩৩ লাখ নগদ টাকা ও ৬০০ টন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাদের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে ২২৫টি মেডিকেল টিম।
বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদা আক্তার জানান, বুড়িচংয়ে পানি কমতে শুরু করেছে। এখন প্রয়োজন চাল-ডাল ও ঔষধ।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী আসছে। তবে পর্যাপ্ত নৌকা বা ট্রলার না থাকায় বন্যাউপদ্রুত এলাকায় সেসব সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া কঠিন হচ্ছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
৪ দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে উর্দুভাষীরা
শীতে রোগমুক্ত জীবন পেতে সাহায্য করবে যেসব ভেষজ
অন্যতম দর্শনীয় স্থান মহামায়া লেক