অতিরিক্ত চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় শ্রমিক মারধরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সড়ক আটকে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। এর ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজারমুখী সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে গাড়ি না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। উপায় না পেয়ে কেউ হেঁটে, কেউবা তিন চাকার বাহনে চড়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এজন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। পূর্বঘোষণা ছাড়াই এভাবে আন্দোলন করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে শ্রমিকরা জানায়, অতিরিক্ত চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় পরিবহন সংগঠনের সেক্রেটারি মুসা অবৈধ শ্রমিক দিয়ে প্রকৃত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এক জ্যেষ্ঠ চালককে মারধর করে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন তারা।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের অভিযোগ, ‘স্বৈরাচারী হাসিনার মতো সেক্রেটারি মুসা আমাদের রক্ত চুষে খেয়েছে। একটা লোকাল বাস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেলে কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের মতো নানান সংগঠনের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা হয়। আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, পরিবহন সংগঠনের নামে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। এ সেক্টরের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ক মো. আকবর বলেন, ‘সেক্রেটারি মুসা গত টার্ম নির্বাচন দেয়নি। নির্বাচন ছাড়াই গত ১৭ বছর আমাদের রক্ত চুষে খেয়েছে। এখন সে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করতে চাচ্ছে। আমরা আর সেটা হতে দিব না। তাদের নির্যাতনে গত ১৭ বছরে এ পর্যন্ত ৮ হাজার শ্রমিক এ পেশা ছেড়ে চলে গেছে। আমরা এ স্বৈরাচার আর চাই না।’
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এসময় কয়েকটি পরিবহন সংগঠনের নেতাদের আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়, বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ১৭৭
অবশেষে বিপিএলের টিকিট মূল্য প্রকাশ, কিনবেন যেভাবে