নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্ত্র নিয়ে গুলি করা যুবলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মো. ফিরোজ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর থানার রামপুরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ফিরোজ একসময় শিবিরের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত হলেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে যুবলীগে যোগ দেন। তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের পাঁচটি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শরীফ উল আলম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ফেনীর রামপুরা এলাকা থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৮ জুলাই নগরের মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন ফিরোজ। ওই দিন নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় সায়মান মাহিন নামের এক দোকান কর্মচারীকে গুলি করার কথা তিনি র্যাবের কাছে স্বীকার করেন। ফিরোজকে চান্দগাঁও থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মো. ফিরোজ। আজ দুপুরে
এর আগে আন্দোলনের অস্ত্রধারী আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. মিজান, মো. ফয়সাল ও বাদশাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের কর্মী হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে নগরের খুলশী থানা-পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ১০ জন নিহত হন, এর মধ্যে ৪ জন শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারী ২৫ জনের ছবি পাওয়া গেলেও ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা সবাই নগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার
দীর্ঘদিন পর ফেরা তারকারা