মাসুম বিল্লাহ ইমরান, খুলনা:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা বাস মালিক ও শ্রমিকদের ধাওয়া দেয়। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্য কাজ করছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সময়ন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের বাস করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিল। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করে বাস শ্রমিকরা। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী অন্যদের জানালে তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেয়।
সেখানে কথা কাটাকাটির জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় খুবির ছাত্র আশিক, সিয়াম, জিসান আহমেদ, অরুপ বসু, হৃদয় ও শাহরিয়ার পারভেজ সাদ আহত হন। এ সময় দুই জন শিক্ষককেও লাঞ্চিত করা হয়।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান। এক পর্যায়ে তারা শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিন জন শিক্ষার্থী আহত হয় বলে জানা গেছে।
সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি-তদন্ত হাওলাদার সানওয়ার মাসুম বলেন, রাজিব পরিবহণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাকে পরিবহণের সদস্যরা বসার ছিট দেয়নি। পরিবহণের সদস্যরা তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে দিয়ে তাকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্র্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের থামানোর সকল চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে রয়েছে। সেনা ও নৌ বাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সাথে রংপুর পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
শীতে শিশুদের সুস্থ রাখবে যেসব খাবার