গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুরে নির্মিত তিস্তা সেতুর পশ্চিম দিকে সেতু রক্ষা বাঁধের ৯’শ মিটারের মধ্যে প্রায় ৬০ মিটার স্থানে ব্লক ধসে তিস্তায় পড়ছে। তিস্তায় ধসে পড়ার স্থানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে রংপুর টু লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দর যোগাযোগ সড়কসহ এলাকার কয়েক শত পরিবার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করে জানান, তিস্তার ভাঙন থেকে সেতু রক্ষা বাঁধটি এর আগে দুই বারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এবারে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া মাত্রই সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে স্থানটিতে প্রায় ৭০ ফুটের কাছাকাছি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষতি হতে পারে সেতুটিসহ যোগাযোগ সড়ক ও তিন গ্রামের কয়েক শত পরিবার।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও কমে গেলেও তীব্র স্রোত সরাসরি এসে আঘাত করছে সেতু রক্ষা বাঁধে। পানির স্রোতের আঘাতে নিচের অংশের মাটি ভেসে গিয়ে ধসে পড়ছে ব্লকগুলো। প্রতিদিন একটু একটু করে ব্লকগুলো নিচে নেমে যাচ্ছে। মহিপুর এলাকার বাসিন্দা রোকন, কায়েছ বলেন, গত কয়েকদিন থেকে ব্লকগুলো তিস্তায় ধসে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি এখন পর্যন্ত। সেতু রক্ষা বাঁধ ভাঙলে সেতু শুকানে পড়ে এদিক দিয়ে পানি গেলে বাড়িঘরসহ সড়ক সব ভেঙে যাবে।
লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আগে দুই বারের বন্যায় যখন বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবার যেভাবে পানি এসে বাঁধটিতে সরাসরি আঘাত করছে এবং উজানে আর একটু বৃষ্টি হলে এই বাঁধ ভেঙে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাঁধ ভেঙে গেলে পানি এসে সরাসরি আঘাত হানবে রংপুর টু বুড়িমারী সড়কে এবং বাঁধের পাশে থাকা শংকরদহসহ তিনটি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবার ভাঙন হুমকিতে পড়বে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেতু ও সড়কটি রক্ষার জন্য দ্রুত বাঁধ সংস্কারের কাজ করতে হবে। গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন, তিনমাস পূর্বে রংপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার পরিদর্শন করে গেছেন। বর্তমান ব্লক ধসে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে স্যারের সাথে কথা বলে আমি বিষয়টি জানাবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, মহিপুরে তিস্তা সেতুটির পশ্চিম অংশের বাঁধটি পানি বাড়ানো ও কমানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশাকরি দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
আব্দুল বারী স্বপন
আরও পড়ুন
মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী রুবেল হত্যার প্রতিবাদে কুলাউড়ায় মানববন্ধন
মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগি দুই নারীর সংবাদ সম্মেলন
শ্রীমঙ্গলে প্রশাসনের আয়োজনে দেশের প্রবীণতম ব্যক্তির জন্মদিন পালন