কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এবিপিএন)। ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পরিচালিত এ অভিযানে পুলিশের ওপর গুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
টেকনাফ ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাউছার সিকদার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের সি-ব্লকের বিকাশ মোড়ে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় সশস্ত্র ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
আটককৃতরা
আটকরা হলেন—আব্দুর রশিদ (২৪), নুরুল আমিন (৩০), পেঠান আলী (২৩), মো. সুলতান (২৬), আবুল হাসিম (২৪), মো. সলিম (২৪), মো. শরিফ (২১), মো. ফারুক (২০), ওমর ফারুক (২১), বিবি আয়েশা (২০) ও বিবি ছারা (১৮)।
কীভাবে অভিযান হয়
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়—১৫ সেপ্টেম্বর রাতেই ক্যাম্পের ওই স্থানে একদল সশস্ত্র ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। খবর পেয়ে এবিপিএনের পাঁচটি টিম দ্রুত অভিযানে নামে। টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে পুলিশ বল কার্তুজ ও লিডবল কার্তুজ নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কৌশলগত অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, রাইফেলের তিন রাউন্ড গুলি, একটি লোহার তলোয়ার, কাঠের বাটযুক্ত রামদা, চাকু, একটি স্কয়ারবারের তৈরি দেশীয় অস্ত্র এবং একটি লোহার ছুরি।
পুলিশের বক্তব্য
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাউছার সিকদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছে তারা প্রায় ৪০-৪৫ জন সহযোগী নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আটককৃতদের নিয়ে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে।
বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
১৭ বিয়ে করা সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত
চন্দনাইশে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০
ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর গেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা