নাটোর প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে আবারও হঠাৎ করে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, নাটোর জেলা শ্রমিক ইউনিনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ। এ তিন জেলা থেকে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরের গন্তব্যের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে নাটোর রেলষ্টেশন থেকে যথা সময়ে সব ধরনের ট্রেন ছেরে গেলেও যাত্রীদের চাপ ছিল অনেক বেশী।
জানা যায়, একতা ট্রান্সপোর্টের বাস ও লোকাল বাস ছাড়া অন্য সব পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুই দফা বাস বন্ধ করে দেন চালক, তাঁদের সহকারী ও সুপারভাইজাররা। পরে মালিকপক্ষ, শ্রমিকদের এ দাবি মেনে নেয়। এরপরও শ্রমিক অযৌক্তিক দাবি সামনে আনছেন, যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে তাঁরা নিজেরাই এবার বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
নওগাঁ আত্রাই এর ঝুমা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যা জানান, ন্যাশনাল পরিহবন নাটোর কাউন্টার থেকে তারা ঢাকা যাওয়ার জন্য আগেই টিকিট নিছেন, কিস্তুু শুক্রবার সকালে কাউন্টারে এসে জানতে পারেন বাস বন্ধ।
নাটোরের সিংড়া থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা নজরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, সকালে এসে তিনি হরিশপুর কাউন্টার গুলোতে গিয়ে জান্তে পারেন যে, ঢাকা গামী সব বাস বন্ধ। পরে নাটোর রেল ষ্টেশন আসেন সেখানেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে বলেন, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ঢাকায় তাঁদের সঙ্গে বসা হয়েছিল। তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সভা সুন্দরভাবেই শেষ হয়। এরপর বাস চলাচলও শুরু হয়।
এর আগে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। দুই দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা আবার বাস চালানো শুরু করেন। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা না হলে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত একতা ছাড়া বাকি সব বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
এবিষয় নাটোর জেলা শ্রমিক ইউনিনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বলেন, নাটোর থেকে লোকাল বাস চলাচল করছে এতে কোন সমস্য হচ্ছে না। এখন শ্রমিকেরা দূরপাল্লার বাস যেখানে –সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চাচ্ছেন আবার খোরাকি ভাতা দাবি করছেন। এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে নতুন করে বিরোধ। তাঁরা বাস চালাবেন না বলেছেন। মালিকরাও বলেছে, ঠিক আছে, এভাবে বাস চালাতে চাই না।
কয়দিন বসে থাকবে থাকুক।
আরও পড়ুন
রংপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদনের দায়ে ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
গঙ্গাচড়া যুব ফোরাম ও শিশু ফোরামের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী উপহার
সমাজ উন্নয়নে স্কাউটদের ভূমিকা শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত