আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার দুপুরে ঘোষণাকৃত রায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চার দফায় ফাঁসি এবং এক দফায় আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেছে। যেহেতু রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল এবং দেশ-বিদেশে বহুল মনযোগ পায়, দ্রুতই খুলনায় আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে।
রায় ঘোষণার পর খুলনার বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়। নগরীর মানুষ একে অন্যকে মিষ্টি খাওয়ান এবং উল্লাস প্রকাশ করে। অনেকেই শহরের মোড় মোড়ে গিয়ে একে অন্যকে অভিনন্দন জানায়। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে রাস্তায় এসে জড়ো হন।
লাখো মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার রেখার সঙ্গে যুক্ত ছিল এই রায়। অনেকের চোখে স্বস্তি, অনেকের কণ্ঠে উদ্দীপনা; তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে ‘ দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হামিম রাহাত বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনার সর্বোচ্চ রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না, ইনশাআল্লাহ।
তারা বলছেন, শুধু রায় নয়, এর কার্যকর প্রতিফলন, সাজার বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি রুখে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তারা আশাবাদী যে, এই রায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। যেখানে কেউ আর স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারবে না।
রায়ের ঘোষণা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি ঠেকাতে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে এবং সেনা, র্যাব ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি পায়। যানবাহনে চলছে সচেতন তল্লাশি।
ছাত্র-নেতারা ইতিমধ্যেই বলছেন তারা “রাজপথ ছাড়বে না” যতক্ষণ পর্যন্ত বাস্তব প্রতিফলন না হয়। অর্থাত্ তাদের আন্দোলন এবং প্রতিবাদের পথ এখানে শেষ হচ্ছে না; এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনাও হতে পারে।

আরও পড়ুন
দুবলার চর: পাঁচ মাসের ভাসমান জনপদে জীবনের লড়াই, অর্থনীতি ও আশার আলো
রংপুরের তেজপাতা চাষ করে স্বাবলম্বি
হাসিনার ফাঁসি চাইলে শহীদ আবু সাঈদের মা বারা