November 26, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 26th, 2025, 9:00 pm

মরিশাস বা ফিজি নয়, হাসিনা যেতে চায় আমেরিকা

 

রাজনীতি ও ক্ষমতা হারানোর পর শতভাগ অসহায় অবস্থায় আছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ‘আইসিটি’ আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। নিজের প্রতিষ্ঠিত বিচারালয়ই বুমেরাং হয়ে তাকে আঘাত করেছে।

ভারতের সঙ্গে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত বন্দিবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে ভারত তৃতীয় কোনো দেশে হাসিনাকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, আপাতত মরিশাস বা ফিজি দ্বীপপুঞ্জের কথা ভাবছে।

তবে হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পনা আলাদা। তিনি চাইছেন, মৃত্যু দণ্ডাদেশের প্রেক্ষাপটে সন্তান জয়ের পাশে আমেরিকায় বসবাস করতে। এজন্য ইতিমধ্যেই তিনি দশ দফার প্রাক-প্রস্তুতি নিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর বাংলাদেশ-ভারত নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বাংলাদেশের ড. খলিলুর রহমান আলোচনা করেছেন। ড. খলিল জানান, “হাসিনা ইজ ডেডকেস,” যা নিয়ে মি. দোভালও বলেছেন, “মোস্ট প্রোবাবলি।”

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, অতীতে ভারত বন্দিবিনিময় চুক্তি অনুযায়ী বিদেশে থাকা অপরাধীদের ফেরত এনেছে। তবে এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা-কামাল ফেরত না পাওয়ায় বাংলাদেশ প্রয়োজনে রোমের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারস্থ হতে প্রস্তুত।

শেখ হাসিনা তৃতীয় দেশে আশ্রয় নিতে চাইলেও, একাকীত্বে জীবন অচল হবে বলে মনে করছেন। এজন্য তিনি চান, সন্তান জয়সহ আমেরিকায় বসবাস। তবে মার্কিন ভিসা বর্তমানে অনিশ্চিত। তাই দুটি পথ চলছে – জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের রায় পরিবর্তন এবং মার্কিন ভিসার জন্য লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে প্রচেষ্টা।

অন্যদিকে, আমেরিকায় হাসিনার পুত্র জয়ের অবস্থান ভার্জিনিয়ায়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের পর তাঁর বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল হয়। পুত্র জয় বৈধ নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

জয় ইতিমধ্যেই ভার্জিনিয়ায় বড় একটি বাড়ি কিনেছেন, যেখানে ভবিষ্যতে মা হাসিনা ও নতুন স্ত্রীকে নিয়ে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন।

এনএনবাংলা/