অনলাইন ডেস্ক :
যশোরে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ২০ মাস পর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ জুলাই ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন চার বছর আগে মৃত শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল। তাকে জেলা উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা-উপজেলায় সমালোচনার ঝড় বইছে। ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত কমিটির উপদেষ্টা ম-লীর তালিকায় গোলাম রসুলের নাম ১০ নম্বরে রয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার গোগা ইউনিয়নে। চার বছর আগে মৃত ব্যক্তিকে পদ দেওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর এত বছর পরও সংবাদটি কেন্দ্রীয় কমিটি বা জেলা কমিটির না জানাটা দুঃখজনক বলে মনে করেছেন তারা। গোগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ জানান, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য গোলাম রসুলের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ ব্যাপারে গোলাম রসুলের ছেলে গোগা ইউনাইটেড আদর্শ কলেজের প্রভাষক ওমর ফারুক বলেন, বাবা দীর্ঘদিন ইউনিয়ন ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মৃত্যুর চার বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ পাওয়ার বিষয়টি হাস্যকর। এত বড় একটি দলের পক্ষে এমন কমিটি কীভাবে করা সম্ভব, তা আমার বোধগম্য নয়! শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও নাভারণ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল বলেন, মৃত্যুর দীর্ঘদিন পরও কীভাবে মৃত ব্যক্তির নাম কমিটিতে আসলো, তা আমার বুঝে আসছে না। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, জেলা আওয়ামী লীগ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কোনও কারণে হয়তো চিঠিটা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পৌঁছায়নি। সে কারণে শার্শার মৃত গোলাম রসুলের নামটি বাদ পড়েনি।
আরও পড়ুন
শুধু সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও প্রয়োজন ঐক্য
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দুর্যোগের ক্ষতি থেকে বাঁচার সহায়ক
শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন