অনলাইন ডেস্ক :
জিতলে সুপার টুয়েলভ আর হারলে বিদায়। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) টসের মুহূর্তে নামিবিয়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস বলেছিলেন, ‘সব কিছু আমাদের হাতে।’ ম্যাচের পর হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেলো নামিবিয়ান অধিনায়কের কথার মর্মার্থ। শুরুর ভুলে হারতে থাকা ম্যাচটায় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন ডেভিড উইসা ও রুবেন ট্রাম্পেলমান। কিন্তু শেষ ওভারে তীরে এসে ডুবেছে নামিবিয়ার তরী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে মাত্র ৭ রানের হারে তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। নামিবিয়ার হারে গ্রুপ থেকে রানার্স আপ হয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস। তাদের আগে সুপার টুয়েলভের টিকিট কাটা শ্রীলঙ্কা গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেরা দল হয়েই পরের পর্বে যাচ্ছে। ফলে নেদারল্যান্ডস খেলবে মহাদেশীয় হেভি জায়ান্টে ভরা ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। শ্রীলঙ্কা খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। বাংলাদেশ ২৪ অক্টোবর নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডাচদের মুখোমুখি হবে। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা নামিবিয়া শুরুতে কখনোই জয়ের পথে ছিল না। টপের বাজে ব্যাটিংয়ে ৬৯ রানে পড়েছে ৭ উইকেট। তখন ১২.৪ ওভারের খেলা চলছিল। তার পর ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ডেভিড উইসা ও রুবেন ট্রাম্পেলমান। বিশেষ করে উইসার বিস্ফোরক ব্যাটিং জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করে। তাতে ১২ বলে তাদের প্রয়োজন পড়ে ২০ রান। কিন্তু এই সময় মাত্র ১২ রানই নিতে পারে তারা। যার ব্যাটে নামিবিয়ার হঠাৎ জেগে ওঠা; সেই উইসা ১৯.৪ ওভারে ফিরে গেছেন। ফেরার আগে খেলেছেন ৩৬ বলে ৫৫ রানের অবিশ্বাস্য একটি ইনিংস। সেখানে ছিল ৩টি চার ও ৩ ছয়। অবশ্য ম্যাচটা এত দূরও আসার কথা ছিল না। আরব আমিরাতের বাজে ফিল্ডিংও অনেকাংশে দায়ী। ১৭ ওভারের শেষ বলে ডেভিড উইসা ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু ওয়াসিমের হাত ফসকে বের হয়ে যায় তা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা রানআউটের সুযোগও মিস করে এই সময়। রুবেন ট্রাম্পেলমান ২৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। নামিবিয়া ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করতে পেরেছে। আইসিসি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পাওয়া আমিরাতের হয়ে ১৭ রানে দুটি উইকেট নেন বাসিল হামিদ। ২০ রানে দুটি নেন জহুর খানও। একটি করে নিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও কার্তিক মেয়াপ্পান। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ায় তিনটি পরিবর্তন নিয়ে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে আরব আমিরাত। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে তারা ১৪৮ রানের পুঁজি দাঁড় করাতে পারে। ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিমের ৪১ বলে ৫০ রান ও অধিনায়ক রিজওয়ানের ২৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস ছিল মূল ভিত। ওয়াসিমের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৩ ছয়। ব্যাট-বলে অবদান রাখায় ম্যাচসেরাও তিনি। রিজওয়ানের ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ছিল একটি ছয়। এ ছাড়া বৃত্ত আরাবিন্দ ৩২ বলে ২১ ও বাসিল হামিদ শেষ দিকে ১৪ বলে ২৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। নামিবিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইসা, বের্নার্ড স্কল্টজ ও বেন শিকোঙ্গো।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লেখা নিয়ে আপত্তি ভারতের, খেপেছে পিসিবি
মালানের সঙ্গে কী হয়েছিল মাঠে, নিজেই জানালেন তামিম
বিপিএলের মাঝপথে খুলনা টাইগার্সে আরো ২ বিদেশি ক্রিকেটার