অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ পর ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপসাগরীয় মিত্র ইরানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (১৩ নভেম্বর) রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে গত শনিবার ফোন দিয়েছিলেন। ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে এতে আরও বলা হয়, ‘দুই দেশের নেতারা বেশকিছু দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিষয় আছে। এ ছাড়াও, পরিবহন ব্যবস্থা ও লজিস্টিকস নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তেহরান জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ‘মস্কোর আগ্রহকে ‘স্বাগত’ জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি, মস্কোর সঙ্গে তেহরানের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ‘জোরালো’ হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিবেশী ২ দেশের ওপর পশ্চিমের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরও জ¦ালানি ও বাণিজ্যিক খাতে তাদের সম্পর্ক বিস্তৃত হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে রাশিয়ার শীর্ষ জ¦ালানি প্রতিষ্ঠান গাজপ্রোমের সঙ্গে ইরানের ৪০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা আছে। চুক্তিতে বিনিময় প্রথার কথা বলা হয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে, পশ্চিমের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এড়িয়ে দেশ ২টি জ¦ালানি খাতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারবে। সাম্প্রাতিক সময়ে প্রতিবেশী দেশ ২টি ভূ-বেষ্ঠিত কাসপিয়ান সাগর দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলে পাতরুশেভ তেহরান সফর করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট রায়িসিসহ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। পশ্চিমের দেশগুলোর ধারণা, এই পাতরুশেভের সফরের মধ্য নিয়ে মস্কো-তেহরান সামরিক সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন
হাসিনার মতো ‘বিশ্বস্ত মিত্র’কে হারানোর ঝুঁকি নেবে না ভারত
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৮ জনের মৃত্যু, আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বাড়ছে, কমছে ধনী দেশের সাহায্য