অনলাইন ডেস্ক :
টেস্টে এক দশকের বেশি সময় ধরে উদ্বোধনী জুটিতে দেড়শ রানও করতে পারছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে সেই খরা কাটালেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও তেজনারাইন চন্দরপল। সেখানে না থেমে তারা এগিয়ে গেলেন আরও, গড়লেন ক্যারিবিয়ানদের টেস্ট ইতিহাসে শুরুর জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ায়ো টেস্টে সোমবার এই কীর্তি গড়েন চন্দরপল ও ব্র্যাথওয়েট। ম্যাচের তৃতীয় দিন ভাঙে ৩৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম শুরুর জুটিতে তিনশ রান দেখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের উদ্বোধনী জুটির আগের রেকর্ড ছিল দুই ব্যাটিং গ্রেট গর্ডন গ্রিনিজ ও ডেসমন্ড হেইন্সের। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। ৩৩ বছর পর তাদের ছাড়িয়ে গেলেন চন্দরপল ও ব্র্যাথওয়েট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই টেস্টের প্রথম দুই দিনেই হানা দেন বৃষ্টি। প্রথম দিন ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন চন্দরপল ও ব্র্যাথওয়েট। দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে এসে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুইজনই, দিন শেষ করেন ২২১ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে। তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় রান বাড়াতে থাকেন তারা। তিনশর আগে তাদের বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ পায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। দলীয় ২৯৬ রানে ব্র্যাথওয়েটের ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি ব্র্যাড ইভান্স। পরের বলে তাকে চার মেরে দলের রান ৩০০ পূর্ণ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। চন্দরপলকে নিয়ে নাম লেখান ইতিহাসের পাতায়। ১৬৭ রানে জীবন পেয়ে ডাবল সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু কাক্সিক্ষত ঠিকানায় তাকে পৌঁছাতে দেননি ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এলবিডব্লিউ হয়ে থামে তার ১৮ চারে ১৮২ রানের ইনিংস। সঙ্গে ভাঙে চন্দরপলের সঙ্গে তার রেকর্ডগড়া জুটি। ১৪৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার নিল ম্যাকেঞ্জি ও গ্রায়েম স্মিথের। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে শুরুর জুটিতে ৪১৫ রান করেছিলেন তারা। টেস্টে বাংলাদেশের কেবল একটি তিনশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি রয়েছে। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১২ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুন
জয় দিয়ে টি–টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
তামিমের অর্ধশতকে দেড়শ’র আগেই থামল ঢাকা
সুপার ওভারে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা