অনলাইন ডেস্ক :
একটা হাতঘড়ির দাম সর্বোচ্চ কত হতে পারে? অনেকে হয়ত অনেক অঙ্কই বলবেন। কিন্তু সম্প্রতি হংকংয়ে একটি হাতঘড়ি ৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। তবে হাতঘড়ির মালিকের নাম শুনলে এ অঙ্কটা স্বাভাবিকই লাগতে পারে। সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা প্যাটেক ফিলিপের তৈরি হাতঘড়িটি ব্যবহার করতেন চীনের শেষ সম্রাট, যার জীবনীর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র “দ্য লাস্ট এম্পেরর ”।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার হংকংয়ে অনুষ্ঠিত নিলামে সেই দেশে বসবাসকারী এক এশিয়ান সংগ্রাহক ফোনকলের মাধ্যমে হাতঘড়িটি কিনে নেন। নিলামের আগে ধারণা করা হয়েছিল, হাতঘড়িটির দাম ৩০ লাখ মার্কিন ডলার উঠবে। কিন্তু পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে (স্পিরিটেড বিডিং) ঘড়িটির দাম ওঠে ৫১ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ লাখ টাকা)। ক্রেতার প্রিমিয়াম ফিসহ ঘড়িটির মোট মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ফিলিপসের ঘড়ি বিভাগের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান টমাস পেরাজি জানান, নিলামে বিক্রির ক্ষেত্রে হাতঘড়িটি রেকর্ড গড়েছে। এর আগে প্যাটেক ফিলিপের তৈরি রেফারেন্স ৯৬ মডেলের কোনো হাতঘড়ি এত দামে বিক্রি হয়নি।
যুক্তরাজ্যের নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের কাছে থাকা নথিপত্র অনুযায়ী ঘড়িটির মালিক ছিলেন ছিল চীনের শেষ সম্রাট আইসিন-গিয়োরো পুয়ি। চীনের কিং রাজবংশের শেষ সম্রাট পুয়ি ১৯০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দুই বছর বয়সে তার রাজত্ব শুরু হয়েছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর পালানোর চেষ্টা করলে চীনের শেনইয়াং বিমানবন্দরে সোভিয়েত রেড আর্মির হাতে বন্দি হন আইসিন-গিয়োরো পুয়ি। রাশিয়ার খবরভস্কের একটি বন্দী শিবিরে যুদ্ধবন্দি হিসেবে পাঁচ বছর আটক ছিলেন। ফিলিপসের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাতঘড়িটির ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করতে এবং এর প্রকৃত উৎস যাচাইয়ের জন্য ঘড়ি বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিন বছর কাজ করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আড়ম্বর, কিন্তু ফলহীন
পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি-বন্যা-ভূমিধসে ২৫০ জনের প্রাণহানি
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের ৪ বছর