December 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 6th, 2024, 7:00 pm

আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইকবালসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০১ সালে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে বিএনপির মিছিলে চারজনকে গুলি করে হত্যার মামলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পর আদালত থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবাল ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ জনের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালত-৮ এ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার (৬ নভেম্বর) রুলসহ আদেশ দেন। ওই মামলার বাদী তৎকালীন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস মৃধার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম।

২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে মালিবাগে একটি মিছিলে তৎকালীন সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবালের নির্দেশে সরাসরি গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তিনজন বিএনপির কর্মী নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। তারা হলেন, জসিমউদ্দিন, খোকন, আব্দুর রশিদ মোল্লা ও নাজমা আক্তার।

ঘটনার পরদিন দেশের তৎকালীন প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় সন্ত্রাসী দুলাল ও খোরশেদ আলম মিছিলের ভেতর থেকে পিস্তল দিয়ে সিনেমা স্টাইলে গুলি করছেন এমন ছবিও ছাপা হয়। এ ঘটনায় ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডা. এইচ বি এম ইকবালসহ ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

এদিকে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। সে অনুসারে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ১৫ জন আসামিকে অব্যাহতি দেন। আর বাকিদের বিরুদ্ধে বিচার চলমান।

আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন অব্যাহতি দিয়েছেন তার পক্ষে কোনো বিস্তারিত মতামত দেননি বিচারক। এ কারণে পট পরিবর্তনের পর মামলার বাদী ইউনুস মৃধা হাইকোর্টে ২০১০ সালের দুটি আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে দুটি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। আর ১৫ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে আত্মসমর্পণ না করলে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া মামলাটিতে এখন তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে।