রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখনও চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।’
তিনি বলেন, এরই মধ্যে হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ড. জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গত ৮ জুলাই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ছয় দিন আগে একই হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গত ২২ জুন রাতে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃদযন্ত্রে সফলভাবে পেসমেকার বসানো হয়।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
সৎ নেতৃত্ব ও ইসলামী অনুশাসন ছাড়া মানবতার প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়: গোলাম পরওয়ার
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা এনসিপির
মাসব্যাপী গণসংযোগ ও ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক জাগপা’র