June 23, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, June 22nd, 2025, 4:00 am

ঢামেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, হল ত্যাগে অস্বীকৃতি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে এ ঘোষণা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে  রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ দফা দাবিতে তারা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ছিল—

১. দ্রুত নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের বাজেট পাস,
২. নতুন ভবন চালু না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা,
৩. নতুন একাডেমিক ভবনের বাজেট অনুমোদন,
৪. পৃথক বাজেট ও দ্রুত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা,
৫. কার্যক্রমে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।

কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আলম বলেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ৮২তম ব্যাচ স্বপ্রণোদিত হয়ে অথবা প্ররোচিত হয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি বর্জন করেছে, যা ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক কালো অধ্যায়। এতে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কলেজের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কাল থেকে এমবিবিএস ছাত্রছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হোস্টেলে থাকা সব শিক্ষার্থীকে আজ দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগ করতে হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আশা করে, ছাত্রছাত্রীদের সহায়তায় এ সংকট কেটে যাবে।

কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, পাঁচ দফা দাবির দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করবেন না।

কলেজ বন্ধ ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন ও হোস্টেলের অবকাঠামোগত দুরবস্থা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত হয়েছে।  ইতিমধ্যে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ছাত্রাবাস নির্মাণে শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানের বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করছে।

অবশ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর আওতামুক্ত থাকবেন।