বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচন নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের মাত্র এক দিনের মাথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ব্রাকসু গঠনের অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি। এর পর মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ছয় সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু পরদিনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চাপ নিতে পারব না। আমি আগেই অপারগতা প্রকাশ করেছিলাম। আমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বও এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
বাকি ৫ জন সহকারী নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ রানা ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাসান আলীর পদত্যাগ নিয়ে গুনজন উঠলেও দুইজনই নিশ্চিত করেছেন তারা পদত্যাগ করেনি৷
এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর শিক্ষার্থীরা আশা করেছিল, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ব্রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের কারণে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মুসতানসির মুয়াজ বলেন, আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। প্রশাসনের উচিত এই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠা। পাশাপাশি কেন কমিশনার দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করলেন, সেই কারণগুলোও জানা প্রয়োজন। এতে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার বলেন, ব্রাকসু নির্বাচন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম হতে যাচ্ছে। সব প্রস্তুতি শুরু হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগে হঠাৎ সব থমকে গেছে। তাঁর এই পদত্যাগ কি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আগামী ব্রাকসু নির্বাচনে অনিয়ম বা অনিচ্ছার ছায়া পড়তে পারে?
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, উনার (ড. ফেরদৌস রহমান) এ অপারগতা খুবই দুঃখজনক। উনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট মনোনয়ন দিয়েছেন। উনাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সাধুবাদ জানিয়েছিল। কেউ উনাকে নিয়ে সমালোচনা করেনি। তাহলে সিন্ডিকেট একজন যোগ্য মানুষকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা উনার সাথে কথা বলব বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট কারো সাথেই আলোচনা করেনি। আলোচনা করলে কেউ এগিয়ে আসবে না। কেন এগিয়ে আসবে না জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, এইটি শিক্ষকরা ভালো জানেন। তবে এইটা যেহেতু থ্যাংকস লেস জব তাই কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না।

আরও পড়ুন
নন-এমপিও শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড
ঢাকা কলেজ–আইডিয়াল কলেজে শিক্ষার্থীদের ‘শান্তিচুক্তি’, সাড়া মেলেনি সিটি কলেজের
শনিবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা